অতীত
- সুমন ভৌমিক
তুমি যখন জীবনের মধ্যাহ্নে উপস্থিত হইবে, পথভ্রষ্ট এক পথিকের মতো মধ্যরাস্তায় থমকে দাঁড়াইবে।
চারিদিক তখন ধোঁয়াশায় আবৃত্ত,
না চাহিয়াও, একবার পশ্চাতে তাকাইবে।
তৎক্ষনাৎ, কোথা হইতে একটা ঝোড়ো বাতাস
তোমাকে উপলক্ষ করিয়া আসিবে,
পশ্চাতের সমস্ত ধূলো, বালি, ছাই
তোমার পদতলে নিক্ষেপ করিবে।
কিন্তু হায়, কিছুই তো নেই, সবই তো ফাঁকা
শুধু ধূ ধূ মরুর মতো সবই অতীত প্রতীত হইবে,
হঠাৎ, আর্কিমিডিসের মতো "ইউরেকা" বলিয়া
মরিচীকাতে যেন মরুদ্য৷ন আবিষ্কার করিবে। বালির অভ্যন্তরে, এক সারিতে আসা, বহুদূর বিস্তৃত
তোমারই পায়ের ছাপ। মনের অভ্যন্তরে জমে থাকা কতগুলো স্মৃতি, কিছু মুহুর্ত ,
রেখে যাওয়া কতগুলো দাগ।
একবার পরম আগ্রহের সহিত, দেহের সমস্ত শক্তি দিয়ে
পশ্চাতে ফিরিবার চেষ্টা করিবে
তখন অবহেলার অতীত, তোমা পানে চাহিবে,
নির্লজ্জ এর মতো মুচকি মুচকি হাসিবে,
আর চিৎকার করিয়া বলিবে-
'এটা একমুখী জীবনপথ, এই পথে একবার। অগ্রসর হইলে
পশ্চাতে ফিরিবার আর কোনো পথ নাই ।'
তুমি তখন কাতর কণ্ঠে, মিনতির সুরে, তাহার সম্মুখে পার্থনা করিবে-
'দয়া করো মোর প্রতি, আমি অতীতে ফিরিতে চাই। '
তখন অবহেলার অতীত তোমা পানে চাহিবে,
সম্মুখপথে যাওয়ার কড়া নির্দেশ দান করিবে।
তুমি অনেকটা মোহাচ্ছন্ন হইবে,
না চাহিয়াও, আর একবার জিজ্ঞেস করিবে-
"যা গেছে, তা কি সম্পূর্ণই গেছে -
কিছুই কি আর করার নেই। "
অবহেলার অতীত, নির্মম সুরে, হতাশ হইয়া বলিবে-
'কিছুই তো আর করার নেই। '
তুমি তখন ছাড়িয়া দীর্ঘশ্বাস
মিটাইয়া সমস্ত আশ
শুধু একবার বলিবে-
' অতীত তুমি বড়ো নিষ্ঠুর হে।। '
না চাহিয়াও, একবার পশ্চাতে তাকাইবে।
তৎক্ষনাৎ, কোথা হইতে একটা ঝোড়ো বাতাস
তোমাকে উপলক্ষ করিয়া আসিবে,
পশ্চাতের সমস্ত ধূলো, বালি, ছাই
তোমার পদতলে নিক্ষেপ করিবে।
কিন্তু হায়, কিছুই তো নেই, সবই তো ফাঁকা
শুধু ধূ ধূ মরুর মতো সবই অতীত প্রতীত হইবে,
হঠাৎ, আর্কিমিডিসের মতো "ইউরেকা" বলিয়া
মরিচীকাতে যেন মরুদ্য৷ন আবিষ্কার করিবে। বালির অভ্যন্তরে, এক সারিতে আসা, বহুদূর বিস্তৃত
তোমারই পায়ের ছাপ। মনের অভ্যন্তরে জমে থাকা কতগুলো স্মৃতি, কিছু মুহুর্ত ,
রেখে যাওয়া কতগুলো দাগ।
একবার পরম আগ্রহের সহিত, দেহের সমস্ত শক্তি দিয়ে
পশ্চাতে ফিরিবার চেষ্টা করিবে
তখন অবহেলার অতীত, তোমা পানে চাহিবে,
নির্লজ্জ এর মতো মুচকি মুচকি হাসিবে,
আর চিৎকার করিয়া বলিবে-
'এটা একমুখী জীবনপথ, এই পথে একবার। অগ্রসর হইলে
পশ্চাতে ফিরিবার আর কোনো পথ নাই ।'
তুমি তখন কাতর কণ্ঠে, মিনতির সুরে, তাহার সম্মুখে পার্থনা করিবে-
'দয়া করো মোর প্রতি, আমি অতীতে ফিরিতে চাই। '
তখন অবহেলার অতীত তোমা পানে চাহিবে,
সম্মুখপথে যাওয়ার কড়া নির্দেশ দান করিবে।
তুমি অনেকটা মোহাচ্ছন্ন হইবে,
না চাহিয়াও, আর একবার জিজ্ঞেস করিবে-
"যা গেছে, তা কি সম্পূর্ণই গেছে -
কিছুই কি আর করার নেই। "
অবহেলার অতীত, নির্মম সুরে, হতাশ হইয়া বলিবে-
'কিছুই তো আর করার নেই। '
তুমি তখন ছাড়িয়া দীর্ঘশ্বাস
মিটাইয়া সমস্ত আশ
শুধু একবার বলিবে-
' অতীত তুমি বড়ো নিষ্ঠুর হে।। '
No comments:
Post a Comment